বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত।

Home / News / বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত।

DESCRIPTION

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২১ পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে রংপুর নগরীর দমদমা বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। পরে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর ও আবাসিক হলগুলোর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়নসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

 

বিকালে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান এবং  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মানব ইতিহাসের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রগতি রুখে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তানী ঘাতকরা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সব সূচকে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজ সফল হয়েছে।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, ৫০ বছর আগে দেশের সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে পাকিস্তানী দোসরদের দুরভিসন্ধি বাস্তবায়ন হয়নি। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং দেশের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ। এই নৃশংস হত্যাকান্ড স্বাধীনতাবিরোধীদের বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা।
সভাপতির বক্তব্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ ১৯৭১ সালের এই দিনে বুদ্ধিজীবীসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অশুভ শক্তিকে রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানান। বঙ্গবন্ধু কন্যার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য এই দেশ সুখী-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলেও বেরোবি উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এছাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।